১১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইউএনএ প্রতিবেদক
  • আপডেট: ০১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / 24

সংগৃহীত ছবি

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১,২২ মে দুই দিনের সফরে আসবেন তিনি। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

রোববার (১৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন, রোহিঙ্গা সংকট, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রায় তিন দশক পর অস্ট্রেলিয়ার কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফরে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের জন্য এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ বেড়েছে। একদিকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। অপরদিকে ভারত মহাসাগর অঞ্চল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার এবং তাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ওং। ১৯৭৬ সালে তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসে এবং অ্যাডিলেডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তখন তার বয়স ছিল ৮ বছর।

অস্ট্রেলিয়ার এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফর বাংলাদেশের প্রতি দেশটির ক্রমবর্ধমান আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ।

চলতি মাসের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং একসঙ্গে অবদান রাখতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

জানুয়ারিতে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ‘ভারত মহাসাগরীয় রাষ্ট্র হিসেবে সার্বভৌমত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের প্রতি আমাদের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং তা দু’দেশের নাগরিকদের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার প্রসার ঘটায়। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা করে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরে ‘শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার’ প্রচারে তাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

 

শেয়ার করুন
ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

সংগৃহীত ছবি

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১,২২ মে দুই দিনের সফরে আসবেন তিনি। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

রোববার (১৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন, রোহিঙ্গা সংকট, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রায় তিন দশক পর অস্ট্রেলিয়ার কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফরে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের জন্য এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহ বেড়েছে। একদিকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। অপরদিকে ভারত মহাসাগর অঞ্চল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার এবং তাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ওং। ১৯৭৬ সালে তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসে এবং অ্যাডিলেডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তখন তার বয়স ছিল ৮ বছর।

অস্ট্রেলিয়ার এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফর বাংলাদেশের প্রতি দেশটির ক্রমবর্ধমান আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ।

চলতি মাসের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং একসঙ্গে অবদান রাখতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

জানুয়ারিতে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ‘ভারত মহাসাগরীয় রাষ্ট্র হিসেবে সার্বভৌমত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের প্রতি আমাদের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং তা দু’দেশের নাগরিকদের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার প্রসার ঘটায়। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা করে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরে ‘শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার’ প্রচারে তাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

 

শেয়ার করুন