০৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

পর্যটকে সমাগম কুয়াকাটা

ইউএনএ নিউজ প্রতিনিধি
  • আপডেট: ০১:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / 2

তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে বাড়তি পর্যটকের সমাগমে মুখর কুয়াকাটা – ছবি : সংগৃহীত

শ্রমিক দিবসসহ সরকারী তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে বাড়তি পর্যটকের সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল মোটেলের মালিকসহ বিক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের আনাগোনায় বুকিং রয়েছে ৯০ শতাংশ হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। খালি নেই হোটেল-মোটেল-কটেজ-রিসোর্টের কোনো কক্ষ। সব আবাসিক হোটেল, মোটেল, কটেজ, রিসোর্ট সব কানায় কানায় পূর্ণ। বুকিং না থাকায় অনেক পর্যটক পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিপণী বিতানগুলোতে।

স্থানীয়রা জানান, আগত পর্যটকরা সৈকতে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে দল বেঁধে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে উচ্ছাসে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

খুলনা থেকে আসা পর্যটক রাইসা বলেন, তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে আমরা পরিবারের সবাই মিলে কুয়াকাটা এসেছি। আজ এসে বড় বড় ঢেউ উপভোগ করেছি। সমুদ্রের বিশালতা আমাদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।

পর্যটক হাবিব বলেন, আমরা ঢাকা কলেজ পড়ি। বন্ধুরা মিলে প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় এসেছি। এখানের সবকিছুই বেশ দারুণ লেগেছে। তবে হোটেল ভাড়া এবং খাবার মূল্য একটু বেশি মনে হচ্ছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।

ট্যুরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার কুয়াকাটায় আরো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় জন্য আমাদের সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।

শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পর্যটকে সমাগম কুয়াকাটা

আপডেট: ০১:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে বাড়তি পর্যটকের সমাগমে মুখর কুয়াকাটা – ছবি : সংগৃহীত

শ্রমিক দিবসসহ সরকারী তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে বাড়তি পর্যটকের সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল মোটেলের মালিকসহ বিক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটকদের আনাগোনায় বুকিং রয়েছে ৯০ শতাংশ হোটেল মোটেল। বিক্রি বেড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। খালি নেই হোটেল-মোটেল-কটেজ-রিসোর্টের কোনো কক্ষ। সব আবাসিক হোটেল, মোটেল, কটেজ, রিসোর্ট সব কানায় কানায় পূর্ণ। বুকিং না থাকায় অনেক পর্যটক পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিপণী বিতানগুলোতে।

স্থানীয়রা জানান, আগত পর্যটকরা সৈকতে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে দল বেঁধে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে উচ্ছাসে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

খুলনা থেকে আসা পর্যটক রাইসা বলেন, তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে আমরা পরিবারের সবাই মিলে কুয়াকাটা এসেছি। আজ এসে বড় বড় ঢেউ উপভোগ করেছি। সমুদ্রের বিশালতা আমাদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।

পর্যটক হাবিব বলেন, আমরা ঢাকা কলেজ পড়ি। বন্ধুরা মিলে প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় এসেছি। এখানের সবকিছুই বেশ দারুণ লেগেছে। তবে হোটেল ভাড়া এবং খাবার মূল্য একটু বেশি মনে হচ্ছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।

ট্যুরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার কুয়াকাটায় আরো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় জন্য আমাদের সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।

শেয়ার করুন