তেতুলিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

- আপডেট: ১০:৪৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
- / 51
তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান। ছবি – সংগৃহীত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তির দলিল ক্রোকের আদেশ দিয়েছে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। একই সাথে আদেশে তার স্ত্রী তহুরা বেগমেরও নামের দলিল ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও আদেশে মাহমুদুর রহমান ডাবলুর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার ব্যাংক হিসাবকে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেছে আদালত।
বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ আাদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দূর্নীতি দমন কমিশন আইনের বিধিমালা অনুযায়ী মো: গোলাম ফারুক এই আদেশ দেন।
এর আগে দূর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশে গত ১ ফ্রেব্রুয়ারী ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আজমির শরিফ মারজী আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সজেকা সমন্বিত কার্য্যালয়ের উপ পরিচালকের কাছে একটি মামলা দায়ের করেন, পরে গত ৮ ফেব্রয়ারী দুদকের নির্দেশে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কাজী মাহমুদুর রহামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন । পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন দুদক কার্য্যালয় হতে কাজী মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের জবাবে অভিযুক্ত কাজী মাহমুদুর রহমান জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। পরে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আদালতে সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তার নামীয় স্থাবর সম্পতি ১৭ টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
আয়কর ফাইল ও মামলা এজাহার ও আদালত সুত্রে জানা যায় যে কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ২০২০ সালে দাখিল কৃত সম্পদের হিসাবে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের হিসেব গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন। গত ১২ জুন এসব সম্পদের দলিল ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন মামলার বাদী। এরই প্রেক্ষিতে কাজী মাহমুদুর রহমানের নামে ১৬ টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১ টি দলিল ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।
পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান আদালতে গত ১ ফেব্রয়ারি মামলার পর গত ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানি হওয়ার পর আদালত সন্তষ্ট হয়ে কাজী মাহমুদুর রহমানের ১৭ টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। তবে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।